বিল্লাল হোসেন প্রান্তঃ
স্বাধীন সার্বভৌমের দেশ বাংলাদেশ। ৩০ লাখ প্রানের বিনিময়ে অর্জিত রাষ্ট্র। বহু উত্থান পতনের মধ্যদিয়ে আজ বাংলাদের উন্নয়নের পতাকা উড়িয়ে ছুটে চলছে দুর্বার গতিতে। এ উন্নয়নকে তরান্বিত করতে আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। কিন্তু এ অগ্রযাত্রা অনেকের গর্তদাহের কারনও বটে। গণতন্ত্রের বুলি আওরে উন্নয়ন বাঁধাগ্রস্থ করাই তাদের টার্গেট। বলা হয় দেশে গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নামে আন্দোলন করছে তারা। তবে তাদের এ কথাগুলো যখন গণমাধ্যমে উঠে আসছে আর দেশের সিংহভাগ মানুষ তা বর্জন করছে। তখন কি বলবে গণতন্ত্র উদ্ধারকারী দল।
একটি দেশ গণতান্ত্রিক হয়ে উঠে যখন সে দেশের গণমাধ্যম স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হয়। আজকের বাংলাদেশে ইলেক্টনিক্স, প্রিন্ট, অনলাইনসহ দেশি বিদেশি গণমাধ্যম রয়েছে শত শত। যেকোন বিষয়, যেকোন ঘটনা তাৎক্ষনিক উঠে আসছে খবরে। সেখানে রাষ্ট্রের বিরোধী দল, বিএনপিসহ সকল দলের খবর প্রচার হচ্ছে সমান তালে। জনগণের পছন্দ ও জনপ্রিয়তায় এখন আওয়ামী লীগ। ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের যেমন ইতিবাচক খবর প্রচারিত তেমনি নেতিবাচক খবরও প্রচার কম হয়না। এ একটি উদাহরন কি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সচ্ছতাকে প্রমান করে না?
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোথাও কোথাও গলা টিপে ধরার চেষ্টা করা হয়। সেটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এলাকা ভিত্তিক অনেক ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, স্বার্থলোভি চক্র থাকে যাদে হুলে আগুন লাগলে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করতে উদ্যত হয়। তবে এ দেশের ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় জনগণের ক্ষমতার কাছে কোন শক্তিই টিকে থাকতে পারেনি। সাময়িকভাবে গণমাধ্যমের কন্ঠরোধ করা গেলেও জনগনের কন্ঠরোধ করা অসম্ভব। যা পারেনি বিদেশী বেনিয়া থেকে পাকিস্তানি হানাদার পর্যন্ত। এ দেশের মানুষ রক্তে মাংসে মুক্তপাগল। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙবার ইতিহাস রচিত হয়ে বাংলার ললাটেই।
বঙ্গকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা পুরো পরিবারকে হারিয়েও শক্ত হাতে হাল ধরেছেন। তিনি এখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে এগিয়ে চলছেন। ৭১ এ দেশ স্বাধীনতার পর দেশ গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বলেছিলেন “ফেরাউনের দল সব শেষ করে দিয়ে গেছে, শুধু আছে মনুষ্য শক্তি, সে শক্তি নিয়েই আমরা আবার দেশটা গড়ে তুলবো”। সে লক্ষ্যে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন কিন্তু ৭৫ এ বিপদগামী পাকিস্তানি দোসরদের ষড়যন্ত্রে সেই উন্নয়ন যাত্রাকে হত্যা করা হয় জাতির পিতার হত্যার মাধ্যমে। দীর্ঘ ২১ বছর পর সেই উন্নয়নের হাল ধরেন বঙ্গবন্ধু কণ্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে।
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার ইমেজ আজ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। পর পর তৃতীয়বারের মতো তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন। এতে তার দলের অসংখ্য নেতাকর্মী ও জনগনের ভালোবাসা ও প্রেরনা রয়েছে। তবে দল দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকায় একটি শ্রেনী দলে ডুকে নানা অপকৌশলে বিভিন্ন চক্রান্ত চালাচ্ছে। তাদের টাকার দাবানলে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। এদের বিরুদ্ধে কথা বলার যত কন্ঠ তা বন্ধ করতে নানা কৌশলের ব্যবহার চলছে কোন কোন এলাকায়। এমনকি সেখানে গণমাধ্যমও কোনঠাসা এদের ক্ষমতার দাপটে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহারকী, দূর্নীতিবাজ, অনুপ্রবেশকারীদের সায়েস্তা করতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে দূর্নীতিবাজ, মাদক সন্ত্রাস, অনুপ্রবেশকারীদের সায়েস্তা করতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চরম সাহসীকতার প্রমাণ রেখেছে। সেক্ষেত্রে নিজ সংগঠন আওয়ামী লীগকে মানে ঘর থেকে অভিযান শুরু করেছেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগের শুদ্ধি অভিযানে অনেক প্রভাবশালীকে সায়েস্তা করা হয়েছে। গোটা দেশ ও দেশের জনগণ একযোগে দেখেছে। খবর আছে, এ শুদ্ধি অভিযান চলবে জেলা পর্যায়েও। পাচঁ ধরনের অপরাধকে সনাক্ত করে ইতিমধ্যেই এর আওতায় একটি তালিকা প্ররনায় করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রধানমন্ত্রী। এরপর তালিকা করা হচ্ছে প্রশাসনের বিভিন্ন স্থরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে, যারা দুর্নীতি অনিয়মের সাথে জড়িয়ে নিজেকে ও সরকারকে বির্বত করছে। আর এসব কোন বিষয়ই গণমাধ্যমকে আড়াল করে নয়, বরং যাকেই ধরা হচ্ছে তা সরাসরি গণমাধ্যমে উঠে আসছে। এখানেই গণমাধ্যমের স্বাধীন ও গণতন্ত্রের চর্চা ফুটে উঠছে। যারাই গণতন্ত্রের গণমাধ্যমকে রোধ করতে চায় তারা ছিটকে পড়বে আস্তাকুঁড়ে এটি পরিস্কার।